বাংলা
সূরা আন-নাবা - Verses Number 40
عَمَّ يَتَسَاءَلُونَ
( 1 )
তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ
( 2 )
মহা সংবাদ সম্পর্কে,
الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
( 3 )
যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে।
كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
( 4 )
না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে,
ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
( 5 )
অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে।
أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
( 6 )
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা
وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
( 7 )
এবং পর্বতমালাকে পেরেক?
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
( 8 )
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি,
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
( 9 )
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী,
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
( 10 )
রাত্রিকে করেছি আবরণ।
وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
( 11 )
দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়,
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
( 12 )
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ।
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
( 13 )
এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি।
وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاءً ثَجَّاجًا
( 14 )
আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি,
لِّنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا
( 15 )
যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا
( 16 )
ও পাতাঘন উদ্যান।
إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا
( 17 )
নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে।
يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
( 18 )
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে।
وَفُتِحَتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ أَبْوَابًا
( 19 )
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে।
وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
( 20 )
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে।
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
( 21 )
নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে,
لِّلطَّاغِينَ مَآبًا
( 22 )
সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে।
لَّابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا
( 23 )
তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে।
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
( 24 )
তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না;
إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
( 25 )
কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে।
جَزَاءً وِفَاقًا
( 26 )
পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
( 27 )
নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না।
وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا
( 28 )
এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত।
وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا
( 29 )
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।
فَذُوقُوا فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
( 30 )
অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব।
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
( 31 )
পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য।
حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا
( 32 )
উদ্যান, আঙ্গুর,
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
( 33 )
সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী।
وَكَأْسًا دِهَاقًا
( 34 )
এবং পূর্ণ পানপাত্র।
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
( 35 )
তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না।
جَزَاءً مِّن رَّبِّكَ عَطَاءً حِسَابًا
( 36 )
এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান,
رَّبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْمَٰنِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
( 37 )
যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়, কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না।
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا ۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَٰنُ وَقَالَ صَوَابًا
( 38 )
যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।
ذَٰلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ ۖ فَمَن شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ مَآبًا
( 39 )
এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক।
إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا
( 40 )
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।